
কোলকাতা থেকে ৭৫০ কিঃমিঃ দূরে জেলাশহর আলিপুরদুয়ারের বুকে রাজ্যের পরথম বইয়ের মল বইমহল। প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে মাসে। ওনার শ্রীমতী শিল্পী সাহা। বক্সা ফিডার রোডের ফ্লাইওভারের পাশে এটি অবস্থিত। আনন্দ, দে’জ, সোপান সহ প্রায় ৩০ টি পাবলিকেশনের বই এখানে পাওয়া যায়।
বইমহল কেবল একটি বইয়ের দোকান হিসেবে নয় , শহরের বুকে শিক্ষা-সংস্কৃতি বিষয়ে মানুষের হৃদয়ের আবেগে পরিনত হয়েছে। প্রযুক্তির যুগে মানুষের মধ্যে বইয়ের আকর্ষণ বজায় রাখতে বইমহল সদা সচেষ্ট।
বইমহলের কাজের ভাবনা:
সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন: ভালো বইয়ের দোকান স্থানীয় লেখক ও সাহিত্যিকদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যেখানে তারা তাদের কাজ প্রদর্শন করতে এবং সম্প্রদায়ের সাথে সংযুক্ত হতে পারে। এটি সাহিত্যিক চর্চার উন্নতি সাধন করে এবং নতুন লেখকদের উৎসাহিত করে।

জ্ঞান ও শিক্ষা বিস্তার: বইয়ের দোকান শিক্ষামূলক বই ও বিভিন্ন বিষয়ে সমৃদ্ধ সংকলন সরবরাহ করে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্ঞান অর্জনের আগ্রহ বৃদ্ধি করে। শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় বই পেতে পারে এবং সাধারণ পাঠকরা তাদের জ্ঞান সম্প্রসারণের সুযোগ পায়।
সামাজিক সংযোগ ও সম্প্রদায় গঠন: বইয়ের দোকান শুধুমাত্র বই কেনার জায়গা নয়, এটি একটি সামাজিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেও কাজ করতে পারে। এখানে বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান, সাহিত্য আলোচনা, পাঠচক্র, এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে পারে যা মানুষের মধ্যে সামাজিক সংযোগ বাড়িয়ে তোলে।
সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার: বইয়ের দোকানগুলি স্থানীয় ও আঞ্চলিক সাহিত্য, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণে সহায়তা করে। এটি একটি প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণের মাধ্যম হিসাবে কাজ করতে পারে।

অর্থনৈতিক প্রভাব: একটি সফল বইয়ের দোকান স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। এটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করে এবং স্থানীয় ব্যবসার সাথে সহযোগিতা করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ায়।
মানসিক স্বাস্থ্য ও বিনোদন: বই পড়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা স্ট্রেস কমাতে এবং মনোযোগ উন্নত করতে সহায়তা করে। একটি ভালো বইয়ের দোকান মানুষের বিনোদন ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বইমহল কেবল বই বিক্রির স্থান নয়, বরং এটি সমাজের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বহুমুখী ভূমিকা পালন করে চলেছে।